
পরকীয়ার প্রমাণ লুকাতে নিজের দেড় মাসের শিশুপুত্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করল এক যুবতী। এ কারণে ৩০ বছরের ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের পর শিশুর দেহটি একটি খালে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাত প্রদেশের ভাদোদরা সংলগ্ন কাইরা জেলার কাথলাল থানা এলাকায়। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
বর্তমানে ওই যুবতীর নামে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিন কাইরা জেলার একটি খাল থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, স্থানীয় এক যুবতী আশা রাঠোর সম্প্রতি নাদিয়াদ সিভিক হাসপাতালে একটি শিশুপুত্রের জন্ম দিয়েছেন। পরে ওই এলাকার প্রশাসনিক দপ্তরে গিয়ে বার্থ রেজিস্ট্রার দেখে তার প্রমাণ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা।
কাথলাল থানার পুলিশ আধিকারিক ডিকে রাওল জানান, ২০০৯ সালে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবতীটির। বর্তমানে তার দুটি সন্তানও আছে। কিন্তু, বিয়ের কিছুদিন পরে স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের হয় আদালতে। এর জেরে ২০১৫ সাল থেকে স্বামীর থেকে আলাদা থাকছিলেন তিনি। তাই তার সন্তান হওয়ার খবর শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়। বিষয়টি জানতে তার বাড়িতে যান পুলিশকর্মীরা।
তখন ওই যুবতী জানান, একটি হাসপাতালে তার সন্তানের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু, সেকথা বিশ্বাস হয়নি পুলিশকর্মীদের। এরপরই সত্যি কথা জানার জন্য চাপ দেওয়া তাকে। পুলিশের চাপের মুখে ভেঙে পড়েন ওই মহিলা। স্বীকার করেন স্বামীর অবর্তমানে এক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তার। এর ফলে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কিন্তু, সন্তান জন্মানোর পর সমাজে নিন্দা হবে ভেবে তাকে খুন করে খালে ভাসিয়ে দেন।
আইএ/পাবলিক ভয়েস