
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে হঠাৎ ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারত।এতে কাশ্মির জুড়ে তীব্র আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার এ খবর জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ধারণা করা হচ্ছে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের চেষ্টা হলে কাশ্মীর উত্তপ্ত হয়ে ওঠতে পারে।তা মোকাবেলা করতে বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।
এদিকে কাশ্মেরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বা শাহ ফয়সলের মতো রাজনীতিবিদরা এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন, কাশ্মির থেকে দলে দলে পর্যটকরা ফিরে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। মেহবুবা মুফতি বলেন, কাশ্মির সমস্যার কোনও সামরিক সমাধান সম্ভব নয়। যতক্ষণ না সংলাপ শুরু হচ্ছে এবং তাতে পাকিস্তানকেও যুক্ত করা হচ্ছে, ততক্ষণ এসব করে কোনও লাভ নেই। সেনাবাহিনীর শক্তিতে জোর করে সাময়িক শান্তি আসতে পারে, কিন্তু স্থায়ী সমাধানের জন্য কাশ্মির নিয়ে আলোচনাই একমাত্র পথ।
জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্টের প্রধান ও সাবেক আমলা শাহ ফয়সল বলেন, বাড়তি সেনা মোতায়েনে গোটা কাশ্মির উদ্বিগ্ন! একেবারে নজিরবিহীন, খুব সাংঘাতিক খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে ভেবে তারা শঙ্কিত। সরকারের এখন উচিত মানুষকে সব কিছু খোলাসা করে বলা, পরিষ্কার করে জানানো যে ৩৭০ ধারা বা আর্টিকল ৩৫-এ বিলোপ ঘটতে যাচ্ছে কি না।
এর আগে ২৫ জুলাই ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিশেষ নোটে বলা হয়, কাশ্মিরে জঙ্গি দমন অভিযানে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৫০টি কোম্পানি, সশস্ত্র সীমা বলের ৩০ কোম্পানি এবং বিএসএফ ও ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের দশটি করে বাড়তি কোম্পানিকে অবিলম্বে এয়ারলিফট করে আনা হচ্ছে কাশ্মীরে।
এদিকে ভারতীয় সেনা ছাউনি টার্গেট করে হামলা শুরু করে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় পাক বাহিনী। জানা গেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নতুন করে উত্তেজনা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দ্র আনন্দ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে নিয়ন্ত্রণরেখায় শাহপুর ও সাউজিয়ান এলাকায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাতে শুরু করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনারা পালটা হামলা চালায় বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আই.এ/পাবলিক ভয়েস