
ফয়সাল আরেফিন, জবি: লিংকনের গণতন্ত্রে যে চর্চা ছিল সামাজিক অর্থনৈতিক এবং তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে তা আর কার্যকর নেই বলে দাবি করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অরুণ কুমার গোস্বামীর বই
Institutionalizationof Democracy in Bangladesh শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, অধিকাংশ মানুষ যা বলে তা গণতন্ত্র নয় কিংবা সবাই মিলে যা বলে তাও গণতন্ত্র নয়। একজন যদি ন্যায্য কথা বলে তবে তা মেনে নেয়াও গণতন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য। এজন্য উত্তর আধুনিক গণতন্ত্রে আগের মতো মিছিল মিটিং করে গণতন্ত্রের চর্চা না করে বরং গণতন্ত্রের চর্চাকে প্রাতিষ্ঠানিক করতে হবে। গণতন্ত্রে চাওয়ার কিছু নেই। জনগণকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্র হয় না আবার কতগুলো লোক একত্রিত হলেই গণতান্ত্রিক সংগঠন হয় না। নতুন গণতন্ত্রের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ গণতন্ত্রের সংজ্ঞার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, কেউ যদি ন্যায্য কথা বলে আমরা তা মেনে নেব, এমনকি তিনি যদি একজনও হন’। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই বানীকে উত্তর আধুনিক গণতন্ত্রের সংজ্ঞা হিসেবে দাবি করেছেন জবি উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম আনোয়ারা বেগম, রেজিস্টার প্রকৌশলী মো ওহিদুজ্জামান, লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইনষ্টিটিউটের পরিচালক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।