
প্রিয়া সাহাকে বাংলাদেশ সরকার গ্রেফতার করতে যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে জানতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে ফোন এসেছে ওয়াশিংটন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন পেয়ে মোমেন তাকে আশ্বস্ত করেছেন, সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে না।
দলিত সম্প্রদায় নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘শারি’র পরিচালক প্রিয়া সাহা ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউজে গিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যেচার করেছিলেন।
‘৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু বিলীন হয়ে গেছে’। ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কছে এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশী এক নারী প্রিয়া সাহা।
গত ১৮ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ২৭টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। তখন তিনি এমন অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পর থেকেই তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। ফেসবুকে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন তার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীরা বিবৃতি দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মশা মারতে কামন দাগা নয়।
আইএ/পাবলিক ভয়েস