
হাইকোর্টের নির্দেশনায় পাস্তুরিত দুধের ১১টি নমুনা পরীক্ষায় ক্ষতিকর জীবাণু পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংস্থা বিসিএসআইআর ও জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট। এ ঘটনায় প্রাণসহ ১০টি পাস্তুরিত দুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪ জুলাই) মামলাটি করেছে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) প্রাণসহ ১১টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে সীসার উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ওই প্রতিবেদনে বাজারে বিক্রি হওয়া খোলা দুধের নমুনায় ক্যাডিমিয়াম থাকার কথা জানানো হয়।
বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিসিএসআইআর, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ওয়াফেন রিসার্চ, প্লাজমা প্লাস, পারমাণু শক্তি কমিশন ও আইসিডিডিআরবির ল্যাবে পাস্তুরিত দুধ, খোলা দুধ ও গোখাদ্য পরীক্ষা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ওই পরীক্ষায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত ১৪টি কোম্পানির মধ্যে ১১টির পাস্তুরিত দুধে সীসা মিলেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- প্রাণ মিল্ক, আড়ং ডেইরি, ডেইরি ফ্রেশ, মিল্কভিটা, আফতাব মিল্ক, সেইফ মিল্ক, ইগলু, ফার্ম ফ্রেশ, আল্ট্রা মিল্ক, আইরান ও পিউরা।
আদালত শুনানি শেষে আদেশে বলেন, এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে হবে।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস