
যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন আদালতকে পাশ কাটিয়ে অভিবাসীদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নতুন একটি পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে। বিবিসি জানায়, নতুন নিয়মে যেসব অভিবাসী টানা দুই বছরের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার প্রমাণ দিতে পারবেন না তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে বিতাড়ন করা হবে।
গত কয়েকমাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। দিন দিন এ সমালাচনা বাড়ছে, বিশেষ করে দক্ষিণের মেক্সিকো সীমান্তে বন্দিশিবিরগুলোর বেহাল দশা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী কেভিন ম্যাকঅ্যালিনান বলেন, “চলমান অভিবাসন সংকটে এ পরিবর্তন একটি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।
এ নীতির কারণে আদালত এবং বন্দিশিবিরগুলোর উপর বাড়তি চাপ কমবে। ইউএস বর্ডার পেট্রোল জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে গত বছর অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত তারা ছয় লাখ ৮৮ হাজার ৩৭৫ জনকে আটক করেছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে তার কঠোর অভিবাসন নীতিকে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের চলমান নিয়ম অনুযায়ী, কেবল সীমান্তের ১০০ মাইলের মধ্যে আটক হওয়া অভিবাসী যারা দুই সপ্তাহের কম সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তাদেরকে অবিলম্বে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু অন্যজায়গায় আটক হওয়া অভিবাসীদের আদালতে হাজির করা হয় এবং তারা আইনজীবী নিয়োগের অধিকার ভোগ করেন।নতুন নিয়মে অভিবাসীরা দেশের যেখান থেকেই আটক হন না কেন তাদেরকে ফেরত পাঠানো যাবে এবং তাদের জন্য আইনজীবী নিয়োগের ব্যবস্থাও রাখা হবে না।
এ নিয়মের ফলে শত শত মানুষ ভুক্তভোগী হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ। ‘দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (এসিএলইউ)’ নতুন এ নীতির বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার সরকারি প্রজ্ঞাপনে নতুন এই নীতি প্রকাশ করা হয়।তাৎক্ষণিকভাবেই এটি কার্যকর করা হবে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস