প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে সত্য তুলে ধরেছেন বলে নিজের বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গাইলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদ প্রিয়া সাহা।
আজ রোববার এক সাংবাদিককে লাইভ সাক্ষাতকারে দেয়া বক্তব্যে প্রিয়া সাহা বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনোত্তর ৯৪ দিন ধরে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছিলো। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য সারা পৃথিবী ঘুরেছিলেন। সব জায়গায় বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার কথায় অনুপ্রাণিত। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধ কথা বলা যায় আমি তার থেকে শিখেছি।
প্রিয়া আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেক্ষেত্রে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক সফলতা দেখিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রও মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই আমি চেয়েছি, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের সরকার একসঙ্গে কাজ করুক যাতে দেশে মৌলবাদের উত্থান না হয়। বাংলাদেশ মৌলবাদের কবলে না পড়ে, একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেজন্য আমি মার্কিন প্রশাসনকে এ কথা বলেছি।
আমি কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইনি। আমি আমার গ্রামের কথা বলতে চেয়েছি। আমার বাড়ি পিরোজপুর। ২০০৪ সাল থেকে সেখানে ৪০টি পরিবার ছিলো এখন ১৩টি পরিবার আছে। সো, আমার গ্রামের মানুষগুলি কোথায় গেলো সেটা রাষ্ট্রের দেখার কথা। (আপনাদের সাংবাদিকদের দেখার কথা)।
কোনো পত্রিকায় কখনো এলো না বাংলাদেশ থেকে মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে প্রশ্ন করলে প্রিয়া বলেন, গত মাসেও সাতক্ষীরা থেকে বেশ কিছু পরিবার চলে গেছে। কোন গ্রামে কার নেতৃত্বে উচ্ছেদ হচ্ছে এসব আপনারা জানেন।
পরিবারের নিরাপত্তা উদ্যোগ প্রকাশ করে প্রিয়া বলেন, আমার পরিবারের ছবি ছাপা হইছে পত্রিকায়। কথা বলেছি আমি, আমার ছবি দিতে পারতো কিন্তু আমার পরিবারের ছবি দেয়া হইছে। বাসার সামনে মিছিল করা হয়েছে। আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছে।
এছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ, ঐক্যপরিষদের পক্ষ থেকে আমেরিকয়া যাননি দাবি করে প্রিয়া বলেন, ‘আমাকে এক্য পরিষদ পাঠায়নি। আমাকে আইআরএফ থেকে সরাসরিমেইল করা হয়েছে। তাদের ইনভাইটেশনে আমি এসেছি। রানা দা (রানা দাশ গুপ্ত) জানেন না। আমিও আসার আগের দিনপর্যন্ত জানতাম না।
/এসএস