
ভারতের বন্যা-কবলিত আসাম রাজ্যের একটি জঙ্গল থেকে একটি মেয়ে বাঘ স্থানীয় একটি বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে সেই বাড়ির খাটে শুয়ে আরাম করছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক থেকে সে চলে এসেছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে সাম্প্রতিক ব্যাপক বন্যায় ৯২টি প্রাণি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংগঠনের কর্মকর্তারা সেই বাড়িতে যান এবং বাঘটি যেন নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করেন।
বাঘটিকে জঙ্গলের পথের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ওই বাঘিনীকে প্রথম দেখা যায় বৃহস্পতিবার সকালে একটি মহাসড়কের কাছে, যে জায়গাটি ছিল জাতীয় উদ্যান থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত।
ব্যস্ত সড়কের যানবাহন হয়তো তাকে বিরক্ত বোধ করিয়েছিল এবং এরপর সে মহাসড়কের কাছে অবস্থিত এক গেরস্থ বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে আশ্রয়ের খোজে। রথিন, বর্মণ যিনি এই বাঘ উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি বলেন ওই বাঘিনী একটি দোকানের পার্শ্ববর্তী ওই বাড়িটিতে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢোকে এবং দিনের বেলা পুরোটা ঘুমিয়ে কাটায়।
সবচেয়ে দারুণ বিষয় ছিল যেটি সেটা হলো যে, বাঘিনীর বিশ্রামে কেউ বাধা দিতে আসেনি। এই অঞ্চলের মানুষদের মাঝে বন্যপ্রাণীর প্রতি ব্যাপক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কাজ করে, বলে এক ব্যক্তি বিবিসিকে জানিয়েছেন।
বাঘটি শেষপর্যন্ত স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িটি থেকে বেরিয়ে যায়, এরপর সে মহাসড়ক অতিক্রম করে এবং তাকে নির্দেশ করা নির্দেশনা মোতাবেক জঙ্গলের দিকে রওনা হয়। মিস্টার বর্মণ অবশ্য বলেন, মেয়ে বাঘটি আসলেই জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে গেছে নাকি সে আশেপাশের এলাকায় হাটাহাটি করেছে-সেটা নিশ্চিত নয়।
ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার ফলে আসাম ও বিহার রাজ্যে ব্যাপকভাবে তাণ্ডবে শতাধিক মানুষের মৃত্যুসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বাস্তু-চ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। বর্ষার মৌসুম - যার ব্যাপ্তি মূলত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত - তাতে নেপাল ও বাংলাদেশে ফসলে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস