অবশেষে রংপুরেই সমাধিস্থ হলেন এরশাদ। সদ্য প্রয়াত জাতীয় জার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা কর্মী ও এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রংপুরে এরশাদের নির্মিত পল্লী নিবাসে দাফন করা হয়। বাদ জোহর রংপুর কালেক্টর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে দাফনের জন্য পল্লী নিবাসে তার মরদেহ নেওয়া হয়। পরে বিকেলে সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হয় তার জন্মভিটা রংপুরে। সিদ্ধান্ত ছিলো বাদ জোহর সেখানে চতুর্থ জানাজা শেষে ঢাকায় এনে সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। দাফন সংক্রান্ত ব্যাপারে সকালে তেজগাও পুরাতন বিমানবন্দরে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান জি এম কাদের বলেছিলেন, ‘এরশাদ একজন আন্তর্জাতিক মানের রাজনীতিক। যথাযথ সম্মানের জন্য তাকে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা উচিৎ’।
অন্যদিকে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টিরে নেতৃবৃন্দ এরশাদকে তার অসিয়ত অনুযায়ী পল্লী নিবাসে সমাহিত করার দাবিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। স্থানীয় নেতাকর্মীরা গতকাল সোমবার অগ্রিম সেখানে কবর খুড়ে রাখে এবং যেকোনো মূল্যে রংপুর থেকে এরশাদের মরদেহ আনতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণাও দেয়।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, এরশাদের স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ শেষ পর্যন্ত তাকে রংপুরেই দাফনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
পরে রওশন এরশাদ তার সংসদীয় প্যাডে তার স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রংপুর বাসীর আবেগ ও ভালোবাসার সম্মানার্থে এরশাদকে রংপুরের মাটিতেই সমাধিস্ত করার বিষয়ে আমি ও আমার পরিবার সম্মতি প্রকাশ করছি’
এর আগে সকাল সাড়ে দশটার কিছু পরে রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা পৌনে ১২টায় মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্টের হেলিপ্যাডে পৌঁছায়। এসময় এরশাদকে একনজর দেখতে ভিড় করেছে হাজার হাজার মানুষ। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে বন্যা উপেক্ষা করে কালেক্টরিয়েট ঈদগাহ মাঠে সমবেত হয়েছেন হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ।
/এসএস