
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান মরহুম এইচ এম এরশাদের মরদেহ আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হেলিকপ্টার যোগে নিজ এলাকা রংপুরে নেওয়া হবে। বাদ জোহর রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে তার চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকায় এনে বিকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।
জানাজা শেষে রংপুরেই তাকে দাফনের দাবি জানিয়েছেন জাপার স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। গত রবিবার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এরশাদ মৃত্যুবরণ করার পর তার স্ত্রী ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ সাংবাদিকদের জানান, মৃত্যুর আগে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফনের জন্য বলে গেছেন এরশাদ। সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে রবিবার এরশাদের প্রেস উইং থেকেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
রবিবার ঢাকা সেনানিবাসে সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে এরশাদের প্রথম জানাজা শেষে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)- এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে’।
এদিকে, রংপুরে এরশাদকে দাফনের প্রস্তুতি হিসেবে গতকাল দুপুরে রংপুর সেন্ট্রাল রোডে দলের স্থানীয় কার্যালয়ে জাপার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিটি যৌথসভা করে।
সভা শেষে জাপা নেতা ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেছেন, রংপুর থেকে এরশাদের মরদেহ ঢাকায় নিতে দেওয়া হবে না। জানা গেছে, স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এরশাদকে দাফনের জন্য কবরের জায়গা নির্দিষ্ট করে কবরও খুঁড়ে ফেলেছেন।
আইএ/পাবলিক ভয়েস