ডেস্ক রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জের আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থীদের চেয়ে বেশি পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মুনির কাসেমী।

এ আসনে হুট করেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত মনোনয়ন পান জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। বিএনপির কেউ এই আসনে মনোনয়ন না পাওয়াতে মনির কাসেমীকে অনেকটা তাচ্ছিল্যই করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ‘উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন কাসেমী’ এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে। পুরো নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে থেকে শুরু করে কারোর সহযোগিতা পাননি কাসেমী। কিন্তু দিনশেষে সেই কাসেমীই ধানের শীষের অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। যদিও মহাজোটের প্রার্থী শামীম ওসমানের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ ১, ২ ও ৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান মনির, নজরুল ইসলাম আজাদ ও আজহারুল ইসলাম মান্নানের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৩৪ ভোট, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ১২ ভোট ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৭ ভোট। অন্যদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৫৮২ ভোট ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এসএম আকরাম পেয়েছেন ৫২ হাজার ৩৫২ ভোট। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি শাহ্ আলম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। বিএনপির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে শাহ্ আলম ও মামুন মাহমুদকে মনোনয়ন দেয়া হয়। বাদ পড়েন গিয়াসউদ্দিন। অভিমান থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হন গিয়াসউদ্দিন। যদিও পরবর্তীতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে শাহ্ আলম ও মামুন মাহমুদকে মনোনয়ন দেয়া হলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইনকে মনোনয়ন দেয়া হয়।