
ইসমাঈল আযহার: সৌদির হজ মন্ত্রণালয় কাতারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, কাতারের হজ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা যেন দেশটির হজ ফরজ হওয়া নাগরিকদের ফরজ বিধান আদায়ের ব্যবস্থা করে। সাথে সাথে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীতা ও শত্রুতা দূর করতেও জোর দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি সংবাদ সংস্থার এসপিএ’র বরাত দিয়ে আল আরাবিয়া জানায়, সৌদি মন্ত্রণালয় সাপ্তাহিক বিবৃতিতে বলেছিল, সালমান বিন আবদুল আজিজ হাজীদের নিরাপদে আগমন, ও তাদের সব ধরণের নিরাপত্তা রক্ষা করেছেন। পুরো বিশ্বের তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশ্যে সৌদির এই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এখন পর্যন্ত পুরো বিশ্ব থেকে ১৭ লক্ষের বেশি হাজী সৌদি পৌঁছেছেন। চলতি বছরে বিশ্বের ৪০ লক্ষ মানুষ উমরা পালন করেছেন বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সৌদি আরব কাতারের হাজীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করছে ও তীর্থযাত্রার আকাঙ্ক্ষাকে বাধা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। কাতারী তীর্থযাত্রীদের রাষ্ট্রে প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সৌদির বিবৃতি অনুযায়ী, কাতারের এই দাবি বাস্তবতা বিপরীত। সৌদি আরব কাতার-ভিত্তিক বিদেশী বুকিং এবং সেবা সংযুক্ত করার জন্য অনেক ওয়েবসাইটের লিঙ্ক সরবরাহ করে। কাতারে হাজিরা একটি এয়ারলাইন ছাড়া অন্য কোন বিমান সংস্থা থেকে আসতে পারেন না।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের মতে, এই বছর অন্যান্য ইসলামী দেশগুলির মত কাতারের হজ সংশ্লীষ্টদের সৌদিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাতে তারা এসে কাতারের হাজিদের হজের ব্যবস্থা করতে পারে। এ ব্যাপারে কাতার ও সৌদির মধ্যে একটি আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর না করেই কাতার প্রতিনিধিদল চলে যায়। এরপর কাতারের হজ কর্মকর্তারা সৌদি আরবে কাতারি হাজ ট্যুর কোম্পানিগুলোকে রাজ্যের হজ সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ দেননি।
সৌদির হজ মন্ত্রণায়ল দৃঢ়ভাবে দাবি করেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য হজ ব্যবহারের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে না। সৌদি মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে আশা ব্যক্ত করে জানায়, কাতার যথাযথ হজ ও উমরার জন্য অর্থ প্রদানের জন্য সৌদি আরবে সফররত সবাইকে স্বাগত জানাবেন। সৌদির হজ মন্ত্রণালয় সকল তীর্থযাত্রীদের মতো সারা পৃথিবীর সকল মানুষের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সার্বিক সহজতা কামনা করেন।
আল-আরাবিয়া উর্দু থেকে ইসমাঈলের আযহারের অনুবাদ।
আইএ/পাবলিক ভয়েস