
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ছে। শনিবার কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজ দেশের বন্দরগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে নৌবাহিনী ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
এমন সময়ে এ খবর এলো উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরান ও ইয়েমেন সংলগ্ন পানিসীমার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সামরিক জোট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেরিন জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেছেন, তিনি ওই অঞ্চলে ‘নৌ-চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত’ করতে চান।
২০১৯ সালের মে মাসে ওমান উপসাগরে চারটি ট্যাংকারে হামলার পর গত মাসে ওই এলাকায় আরও দুটি ট্যাংকারে হামলা হয়। সবকটি হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জুন মাসে ট্যাংকারে হামলার কয়েক দিনের মাথায় একটি চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। ইরানের দাবি, ড্রোনটি তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমাতেই ছিল।
আইএ/পাবলিক ভয়েস