
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন,‘মুমিনগণ জুমআর দিনে যখন নামাজের জন্য আযান দেয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর এবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। আর এটাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সুরা আলজুম’আ)।
রাসুল সা. বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমআর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ)। রাসুল সা. বলেন, হে মুসলমানগণ, জুমআর দিনকে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক) ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারন করেছেন। তোমরা এদিন মিসওয়াক কর, গোসল কর ও সুগন্ধি লাগাও। (আলহাদিস)।
বিশ্বনবী সা. আরো বলেন, জুমআর রাতে বা দিনে যে ব্যাক্তি ঈমান নিয়ে মারা যায় আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দিবেন ( তিরমিযি শরিফ)। রাসুল সা. বলেন, যে ব্যাক্তি জুমআর দিনে সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য মহান আল্লাহ দুই জুমআর মাঝে নুরে আলোকিত করবেন। আবু উসামা রা.হতে বর্নিত আছে রাসুল সা. বলেন, জুমআর দিনে গোসল করলে চুলের গোড়ায় জমে থাকা পাপ ও দূর হয়ে যায়। (আলহাদিস)।
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্নিত, তিনি বলেন- রাসুল সা. এরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি উত্তমরুপে অজু করে জুমআর নামাজের জন্য মসজিদে এলো, মনযোগ সহকারে খুৎবা শুনলো, তার পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত এবং আরো অতিরিক্ত তিন দিনের গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়। আর যে ব্যাক্তি অহেতুক বিনা প্রয়োজনে জুমআর দিনে একটি পাথর ও স্পর্শ করলো সে অনর্থক কাজ করলো।(মুসলিম শরিফ)।
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, জুমআর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও রিজিক তালাশ করতে থাক এবং আল্লাহকে বেশী বেশী স্বরণ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা আলজুম’আ)।
আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে জুমআর পরিপূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
/এসএস

