
সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে ১৭ জুলাই (বুধবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে পরবর্তী এ দিন ধার্য করা হয়।
আজ বুধবার মোয়াজ্জেম হোসেনের অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে না পারায় শুনানি পিছিয়ে ১৭ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ আদেশ দেন।
অন্যদিকে মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ আসামিকে ডিভিশন দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২৪ জুন আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশনের ব্যবস্থা করতে জেল সুপারকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত ১৭ জুন একই আদালত আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে ৩০ জুন মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১০ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলায় ও তার জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী নুসরাতের মা। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার আগ মুহূর্তে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় দুর্বৃত্তরা। মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। ওইদিনই তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ১০ এপ্রিল ঢামেকে চিকিৎসাধীন নুসরাতের মৃত্যু হয়।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস