
যুদ্ধাপরাধীর সন্তানরা দলে যোগ দিতে পারবে বলে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে তাকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। অন্যথায় গণআদালতে তার বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন।
গত ৩০ জুন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তানরা আ.লীগ করতে পারবে। আ.লীগের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ভূমিকা প্রাধান্য পাবে। কোন পরিবারের সন্তান তা বিবেচ্য নয়, হোক সে যুদ্ধাপরাধী বা জামায়াত পরিবারের সন্তান।’
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ওবায়দুল কাদেরের এ ধরনের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। তার এ ধরনের ঘৃণ্য বক্তব্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সুস্পষ্ট স্খলন। এমনকি এ বক্তব্যে তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। রাজাকার পরিবারের পক্ষে এ বক্তব্য দিয়ে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। তার বক্তব্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মনে করে, এ বক্তব্যের ফলে তিনি সরকারে থাকার বৈধতাও হারিয়েছেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আ.লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করার জন্য ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতি আশা করে ওবায়দুল কাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার এ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন, আ.লীগের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন। যদি তিনি তা না করেন তা হলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ তার পদত্যগের দাবিতে আ.লীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তা হলো- ৬ জুলাই বিকেল ৫টায় শাহবাগে জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন, মানববন্ধন শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানির অপরাধে ওবায়দুল কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সম্রাটসহ অনেকে।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস