
রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের পোড়াঘাটা এলাকায় বেড়িবাঁধের উপরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড অপরাধ জগতের পরিচিত মুখ। তার কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।
দলীয় কোনো পদ-পদবি না থাকলেও সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থেকে ছিঁচকে চোর থেকে বরগুনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীতে পরিণত হয়েছে সে। মাদক বিক্রির পাশাপাশি পৌর শহরের বিকেবি রোডের ধানসিঁড়ি এলাকার নিজ বাসায় মাদকসেবীদের মাদক সেবনের সুযোগও করে দিত সে। সুবিধা পাওয়ায় মাদকসেবীরাও ভিড়ত তার কাছে। এভাবে ধীরে ধীরে বরগুনা শহরের মাদকের ডন বনে যায় সে। নিজের বাসা মাদকের আখড়ায় পরিণত করে সে।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, হত্যাকারী দুজনের মধ্যে একজনের নাম সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে ‘নয়ন বন্ড’ (২৫)। অন্যজনের নাম রিফাত ফরাজী। তারা দুজনই অপরাধজগতের বেশ পরিচিত মুখ বলে জানিয়েছে বরগুনা পুলিশ।
স্থানীয়রা এ দুই সন্ত্রাসীর তাণ্ডবে বেশ অতিষ্ঠ বলে জানিয়েছেন। তাদের ভয়ে অনেকেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছিলেন না। প্রায়ই নানা অজুহাতে লাঞ্ছিত হতেন স্থানীয়রা। প্রতিবেশীদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক বিরাজ করত এ দুজনের নাম শুনলে। এলাকাবাসীদের ওপর এসব অত্যাচার করে বিভিন্ন সময় তাদের জেল খাটতে হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। কিন্তু খুব অল্প সময়েই হাজত থেকে বের হয়ে আসত অদৃশ্য কারণে। আর ফিরেই তাদের তাণ্ডবলীলার পরিমাণ আরও বেড়ে যেত।
হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ছিল কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদককারবারি। জানা গেছে, ২০১৭ সালে বরগুনায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও দেশীয় অস্ত্রসহ নয়নকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেই সময় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৫ মার্চ রাত ১১টায় নয়ন বন্ডের বাসায় অভিযান চালায় বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক, দুটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়। এসব মাদকের মধ্যে ছিল ৩০০ পিস ইয়াবা, ১২ বোতল ফেনসিডিল ও ১০০ গ্রাম হেরোইন।
আইএ/পাবলিক ভয়েস