
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ মারা গেছেন, এমন খবরেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের সত্যতা এখনো পাওয়া যায়নি। এরশাদের পরিবার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত সবেক এই রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি।
এর আগে সন্ধায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তার ভাই জিএম কাদের।
আজ রোববার সন্ধ্যায় বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের বলেন, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার ৫০ শতাংশ উন্নতি হয়েছিলো৷ কিন্তু সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দুপুরের পর তার সে অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে ডাক্তার জানিয়েছেন। ফুসফুসে পানি চলে এসেছে, ইনফেকশন দেখা দিয়েছে। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ওষুধের পরিবর্তন করে তার ইনফেকশন বন্ধের চিকিৎসা চলছে। এমন চলতে থাকলে এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন।
দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পরিবার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জিএম কাদের বলেন, এ মুহূর্তে সিএমএইচের চিকিৎসায় আমাদের আস্থা আছে।
সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতির কথা জানান চিকিৎসকরা। পরে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন এরশাদ। তাতেও পুরোপুরি সেরে উঠেননি তিনি।
/এসএস