
ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
সিঁদুর পরে শপথ নিতে গিয়েছিলেন সদ্য বিবাহিত সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। একজন মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়ে তিনি সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া নুসরাতের বিরুদ্ধে ।
মুসলিম ইমাম মুফতি আসাদ ওয়াসিম নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘একজন মুসলিম আর এক জন মুসলিমকেই বিয়ে করতে পারেন।’ মাথায় সিঁদুর পরার জন্য নুসরাতের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছে দেওবন্দ। দারুল উলুম দেওবন্দ বলছে, নুসরতের উচিত ছিল নিজের ধর্মের কারোর সঙ্গে বিয়ে করা কিন্তু ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করে ভুল করেছেন তিনি। মুসলিম মহিলা হিসাবে নুসরতের সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র পরা উচিত হয়নি। মুসলিম ধর্মমতে এটি 'হারাম'। এই পরিস্থিতিতে, সাধ্বী প্রাচী বলেছেন, ‘একজন মুসলিম মহিলা যদি হিন্দু পুরুষকে বিয়ে করে টিপ, মঙ্গলসূত্র পরে তাহলে তা ইসলামে হারাম। অথচ অনেক সময় মুসলিমরাও হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। তখন যদি সেই হিন্দু মেয়েদের জোর করে বোরখা পরানো হয়, তাহলে তা হারাম নয়।’
মাওলানা কারি সাধ্বী প্রাচী লক্ষ করে বলেন, ‘সাধ্বী প্রাচী ওলামা সম্পর্কে কী জানেন! এদের কোনও কন্ট্রোল নেই। এরা শুধু হেডলাইন তৈরি করার জন্য এই ধরনের মন্তব্য ছুঁড়ে দেন। এরা দেশে ভাগাভাগি চান।’ তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই সাধ্বীর। ইসলাম শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা সেয়। আগে ইসলাম সম্পর্কে জেনে তারপর কথা বলেন।
ইমাম মুফতি কাসেম বলেছেন, “ইসলাম কোনও অমুসলিম ছেলেদের বিয়ে করার অধিকার মুসলিম মহিলাদের দেয়নি। সেটা নুসরত করেছেন। শুধু তাই নয় বিয়ের পরে হিন্দু ধর্মের রীতি মেনে সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পরে ইসলামকে অসম্মান করেছেন।” তিনি বলেছেন, “ইসলাম ধর্মে বন্দেমাতরম বলা যায় না। সাংসদে শপথের সময়ে সেটাই বলেছেন নুসরত। বিষয়টি ইসলামের বিরুদ্ধে। ’
আইএ/পাবরিক ভয়েস