
ঝাড়খণ্ডের পর খোদ বাংলার বুকে এক মুসলিম শিক্ষকে ট্রেন থেকে ফলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। মুসলিম শিক্ষকের দাবি জয় শ্রীরাম না বলতে চাওয়ার জন্যই তার সঙ্গে এমন ব্যবহার। পার্ক সার্কাসের এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই বিজেপির নাম জড়াচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনার পর দলের সংখ্যালঘু সেলের এক নেতাকে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন মুসলিম শিক্ষককে হেনস্থার এই ঘটনা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। সঙ্গেই তিনি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযুক্ত হিন্দু সংহতি নামক সংগঠনের কড়া সমালোচনা করেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, মঙ্গলবার পার্কসার্কাসের ঘটনাটির পর বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের সামসুর রহমান নামের এক নেতা দিলীপ ঘোষকে ফোন করে বিষয়টি বলেন। সামসুর বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বলেন, “হিন্দু সংহতির মিছিলে কয়েকজন সংখ্যালঘুকে আক্রমণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি যদি একটা বিবৃতি দেন!’’
সামসুরের প্রশ্নের উত্তরে বাংলা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হিন্দু সংহতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ” আামদের(বিজেপির) সঙ্গে এই ধরণের কোনও সংগঠনের সম্পর্ক নেই। ওরা (হিন্দু সংহতি) গণ্ডগোল বদমায়েশি এসবই করে বেড়ায়। আগে এদের আরও বাড়াবাড়ি ছিল। এখন অনেকটা কমেছে।” এরপরই দিলীপ আরও বলেন, “এই ধরণের কোনও সংগঠনের সঙ্গে দলের বিজেপির) কোনও যোগ নেই। এই ধরণের কাজকে বিজেপিকে সমর্থন করে না।”
দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীর বাসিন্দা হাফিজ মুহাম্মাদ শাহরুখ হালদার ক্যানিং স্টেশন থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে উঠেছিলেন মুহাম্মাদ শাহরুখের অভিযোগ, ট্রেনটি ঢাকুরিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর হঠাৎই ওই দলটির কয়েকজন সদস্য তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করে। কিন্তু তিনি রাজি না হলে তাকে মারধর করা হয়। পরে পার্ক সার্কাস স্টেশনে ট্রেন ঢোকার পর ধাক্কা দিয়ে তাকে প্ল্যাটফর্মে ফেলে দেওয়া হয়৷
এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে ওই শিক্ষককে৷নিজেকে নিত্যযাত্রী বলে দাবি করে মুহাম্মাদ শাহরুখ বলেন, ট্রেনে কামরা ভর্তি লোকের সামনে তাকে মারধর করা হলেও কেউ কোনও প্রতিবাদ জানাননি৷ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার তিনি তোপসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সেখানে অভিযোগ নেওয়া হয়নি৷ থানা জানিয়ে দেয়, জিআরপির কাছে অভিযোগ জানাতে হবে-এমনই দাবি শাহরুখের৷
আইএ/পাবলিক ভয়েস