ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির বক্তব্যে ব্যাপক বিতর্ক ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার কায়রো ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ ফুটবল প্রতিযোগিতা ‘আফ্রিকা কাপ অব নেশনস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি।
সিসির ওই বক্তব্য অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক স্বরে ছিল না। অদ্ভূত ভঙ্গিতে কয়েকটি শব্দ পৃনরাবৃত্তি হচ্ছিল আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির বক্তব্যে। অনেক শব্দ তার মুখেই আটকে যাচ্ছিল।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যেমে বলা হয়, জমজমাট ফুটবল আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির বক্তব্য অন্য কোনো অবস্থার ইঙ্গিত করছিল।
বিষয়টি সিসির মাতাল অবস্থা বলেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অস্বাভাবিক ওই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আর এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
প্রঙ্গত, গত কয়েক দিন আগে ইন্তেকাল করেন মিশরের গণতান্ত্রীকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। মুরসির মৃত্যুু নিয়ে ব্যাপক তোড়পাড় হয় বিশ্বে।
[caption id="attachment_36647" align="aligncenter" width="572"]
মোহাম্মাদ মুরসি[/caption]
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, মুরসির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইলহান ওমর ও অনেক আন্তর্জাতিক মানবতা সংস্থাও মুরসির মৃত্যুর তদন্তের আবেদন জানান।
এদিকে এই টুইটে মুরসির ছেলে আব্দুল্লাহ মুরসি বলেছেন, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। এবং তার বাবার মৃত্যুর জন্য তিনি মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসিসহ আর কয়েক জনকে দায়ী করেছেন।
আব্দুল্লাহ মুরসির মতে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও যারা জড়িত তারা হচ্ছেন বিচারপতি শিরিন ফাহমি, বিচারপতি শাবান আশ-শামি, বিচারপতি আহমেদ সাবরি, অ্যাটর্নি জেনারেল নাবিল সাদেক ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান আব্বাস কামাল।
[caption id="attachment_37053" align="aligncenter" width="572"]
আব্দুল্লাহ মুরসি[/caption]
গত ১৭ জুন মিশরের একটি আদালতের এজলাসে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তৃতা দেয়ার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মোহাম্মাদ মুরসি। এর আগে তিনি আদালতে বলেছিলেন, তার জীবন হুমকির মুখে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস