
ধানমন্ডিতে আ.লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপিকে আন্দোলনের সক্ষমতা প্রমাণের করে দেখাক।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলন সংগ্রামকে আরো বেগবান করা হবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আবারো বলছি, আন্দোলন করে তারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুক।
তারা আন্দোলনের কথা তো বারবারই বলে বেড়াচ্ছে। এখনও পুরানো কথার পুনরাবৃত্তি শুনতে পাচ্ছি। তাদের যদি সেই সক্ষমতা থাকে, সাহস থাকে আন্দোলন করে দেখাক। দশ বছরে তো দশ মিনিটের একটা আন্দোলন দেখলাম না।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিএনপি আন্দোলনে যাবে এমন বক্তব্য নিয়ে কাদের বলেন, তাদের গণতন্ত্র স্ব-বিরোধীতায় পরিপূর্ণ। আন্দোলন কি করবে। মির্জা ফখরুল নিজেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে যোগ দিলেন না, অথচ সেই আসনে পুনঃনির্বাচনে প্রার্থী দিলেন।
এটা কোন গণতন্ত্র। এটা কি গণতন্ত্র? তাদের পাঁচজন সংসদে যোগ দিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত হলেন শপথ নিলেন কিন্তু দলের মহাসচিব সংসদে যোগ দিলেন না, এই দ্বৈত নীতি তাদের দলে। এটা কি রকম গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্র হাস্যকর।
বিএনপির সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্ততি নেওয়ার বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির যেভাবে জন্ম, যে ভাবে বিকাশ তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে তারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল। তারা এই ৭ ধারা থেকে সরে যাবে এমন আশা করা দুঃস্বপ্নের নামান্তর।
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাহাউদ্দিন নাসিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস