
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের বাকেরগঞ্জে কলেজ ছাত্রী ফারজানাকে ধর্ষন ও হত্যার বিচার চেয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ঢাকাস্থ বাকেরগঞ্জবাসী।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় ‘বাকেরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগন’র ব্যানারের এ মানববন্ধনে ঢাকায় অবস্থানরত বাকেরগঞ্জের শতাধিক লোক অংশ নেয়।
মাননবন্ধনে বক্তারা দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে বলে, এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের ভূমিকায় এলাকাবাসী সন্তুষ্ট নয়। তাঁদের আরো সোচ্চার হয়ে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
বক্তারা বলেন, ফারাজানাকে শুধু ধর্ষণই করা হয়নি; আত্মহত্যায় প্ররোচণাও দেয়া হয়েছে। সুতরাং আত্মহত্যা হত্যায় প্ররোচণা ও ধর্ষণের দায়ে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এসময় এলাকায় তরুণদের মধ্যে মাদকের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া ও এমন পরিস্থিতিতে পরিবার ও সমাজ থেকেও ফারজানা যথেষ্ট শারিরীক ও মানসিক সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয়গুলোও তুলে ধরে বক্তারা বলেন, এসব পরিস্থিতির দায় নেতৃস্থানীয়রা এড়াতে পারেন না।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আলমগীর হোসেন হাওলাদার, মোঃ জাকির হোসেন, আল আমিন, মোঃ মোহন, লোকমান জোমাদ্দার, ফারুক জোমাদ্দার, জাহিদুল আলম ওয়াসিম মল্লিক, মো:রায়হান হাওলাদার, মিজানুর রহমান স্বাধীন প্রমুখ।
প্রসঙ্গ, গত ১২ই জুন রাতব্যাপী গণধর্ষণের শিকার হয়ে পরবর্তীতে বিষপান করে ফারজানা। পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ই জুন তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তরিকুল ইসলাম, শাওন গাজী, শাওন ফরাজী, রাশেদ, রাজীব ও জোবায়ের খলিফাকে আসামী করে বাকেরগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছে ফারজানার পরিবার। কিন্তু ৫ দিন বিলম্ব হওয়ায় অপরাধীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এদিকে ঘটনার ৯ দিন হয়ে গেলেও এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।
উল্লেখ্য, ফারজানা আক্তার উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব রবিপুর গ্রামের সালাম ফরাজীর মেয়ে। তিনি কবাই ইউনিয়নের শিয়ালঘুনি টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
/এসএস