মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির ইন্তেকালের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুরসিকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তার মৃত্যুকে ‘শহিদী মৃত্যু' হিসেবেই দেখছেন তিনি।
এরদোগান বলেন, আমি গাড়ী থেকে নামার সময় আমার কাছে মুরসির মৃত্যুর খবর আসে। “আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের শহীদ ভাইদের জন্য দোয়া করছি, আল্লাহ যেন শহীদদের ওপর রহম করেন”।
আজ (১৭ জুন) আদালতে বিচার চলাকালীন অবস্থায় মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসি মৃত্যুবরণ করেন।
মুরসি এরদোগানের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রোগ্রামে দুজনকে আন্তরিকতার সাথে দেখা গেছে বহুবার।
প্রসঙ্গত : ২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে বিশাল গণঅভ্যুত্থান। এতে পদচ্যুত হন হোসনি মোবারক।
এরপর মিসরের প্রথম অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান জনপ্রিয় নেতা মুহাম্মদ মুরসি।
কিন্তু ২০১৩ সালে ষড়যন্ত্রের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরীয় সেনাবাহিনী। পরে প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।
এরপর ২০১৩ সালেই মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করা হয়। এর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার করেছেন। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বিকার করেছেন।