একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় অধিবেশনে আজ রোববার (১৬ জুন) বাজেট পরবর্তি আলোচনায় ঢাকা-৬ আসনের জাতীয় পার্টি থেকে মনোনিত এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, “কুরআন হাদিসের বিষয়ে কথা বললে সংসদে হইচই, চেচোমেচি করা উচিত নয়”।
আমরা মুসলমান; নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত এগুলো আমাদের মৌলিক ফরজ বিধান। তাই ইসলামের কোনো আলোচনা সংসদে হলে হইচই করা উচিত নয় বলেন তিনি।
গত মঙ্গলবার (১১ জুন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে নির্বাচিত এমপি এবং বিএনপির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদ তার বক্তব্যে কুরআন হাদিসের উদৃতি দিয়ে বাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও সাংবিধানে “বিসমিল্লাহ থাকা প্রসঙ্গ নিয়ে” বিভিন্ন আলোচনা করতে গেলে সংসদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অনেকে চিৎকার করতে থাকেন। এদিকে ইঙ্গিত করেই কাজী ফিরোজ রশিদ এ কথা বলেন।
তবে তিনি তার বক্তব্যে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদকে ইঙ্গিত করে বলেন, “তিনি একজন ঈমানদার মানুষ এবং কুরআন হাদিসের উদৃতি দিয়ে কথা বলে থাকেন, যা ভালো লাগে। তবে আমি বলবো; তিনি যেনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুর মতো এতো বিশাল অর্জন এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের মতো অর্থনৈতিক উন্নতির এতো সুন্দর প্রকল্প এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যাপারেও কথা বলেন।
এগুলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখবে এটা যেনো স্বীকার করেন। কারণ ঈমানদার ব্যাক্তিরা সত্য স্বীকারে পিছ পা হয় না।
প্রসঙ্গত : গত মঙ্গলবার (১১ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের শুরুর দিন মাগরিবের নামাজের বিরতির পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে নির্বাচিত এমপি এবং বিএনপির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে আছে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। আবার বলা হয় “ধর্ম যার যার উৎসব সবার”।
পূজায় গিয়ে এটা বলা হয়, এটা হতে পারে না। এটা ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যেহেতু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তাই এটা হতে পারে।
আর এটা বলতে হলে তবে “সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাদ দিতে হবে।” এসময় আওয়ামী লীগের সদস্যদের আপত্তি-চেঁচামেচির মধ্যেও হারুন তার বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন। স্পিকার বারবার তাকে বক্তব্য শেষ করার আহ্বান জানান।