ছুটির দিনে গুরুত্বপূর্ণ নথি সরাতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল।
এক পর্যায়ে নিজ কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। পরে কৌশলে সেখান থেকে বের হন তিনি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার সকালে ছুটির দিন হলেও ফাউন্ডেশনের নিজ কক্ষ থেকে অফিসের প্রয়োজনীয় কিছু নথি নিয়ে যেতে চান মহাপরিচালক।
এসময় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বাধায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। পরে কিছু না নিয়েই কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি।
সচিব আরও জানান, নানা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মন্ত্রনালয় তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কর্মকাণ্ড এবং দুর্নীতির কারণে শামীম মোহাম্মদ আফজালের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই পদে নিয়োগের জন্য তার চুক্তি কেন বাতিল করা হবে না এবং কেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না তার ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে গত তার বিরুদ্ধে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। আর এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় জানতে চাওয়া হয় তাকে কেন সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হবে না।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর টানা ১০ বছর ধরেই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান দায়িত্ব পালন করে আসছেন শামিম মোহাম্মদ আফজাল। এতেই স্পষ্ট, সরকারের সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তবে সম্প্রতি তিনি বেশ বেকায়দায় আছেন। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দূর্নীতির কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয় শামীম মোহাম্মদ আফজালকে।
২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর আরো দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত মে মাসের শুরুতে শামীম মোহাম্মদ আফজালকে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর কেন এই সিদ্ধান্ত তার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়নি স্পষ্ট করে। বিষয়টি অনেকটাই গোপনে হয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি নিয়োগ পেয়েছিলেন।
আইএ/পাবলিক ভয়েস