
ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে যুদ্ধ বিগ্রহের ইতিহাস আছে। আছে জিহাদের মতো বিধান। ইসলামের জিহাদ হলো- সন্ত্রাস, চরমপন্থা জুলুম প্রতিরোধে শান্তি প্রতিষ্ঠার ফমূলা।
অর্থাৎ ইসলামের জিহাদ শান্তি প্রতিষ্ঠা করে, মানুষের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু ইসলামে নাম করে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ড করা কিংবা মানুষ হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহনয়োগ্য নয়।এ ব্যাপারে ইসলামী বিশেষজ্ঞ ও পন্ডিতগণের বক্তব্যে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠে।
ইসলামে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের স্থান নেই। ইসলাম অহেতুক কঠোরতা ও চরমপন্থা শিক্ষা দিতে আসেনি। এসেছে মানুষের পারস্পরিক আচরণে কোমলতা ও সহজ পন্থায় শিক্ষা দিতে। আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা- ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য সহজ ব্যবস্থা নির্ধারণ করতে চান। তিনি তোমাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করতে চান না’। (সুরা বাকারাঃআয়াত ১৮৫)
সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, নিরপরাধ মানুষ হত্যা ইত্যাদি ভয়ংকর অপরাধজনিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করা, ইসলাম কায়েম ও জেহাদের নামে মানুষ হত্যা ও বোমাবাজি ইত্যাদি চরমপন্থা অবলম্বন ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। যারা এসব করেছেন তারা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ, মূর্খ। তারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর শত্রুদের হাতের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছে।
বিদ্যমান রাষ্ট্র-সরকারের নিয়ন্ত্রণকে উপেক্ষা করে নিজেদের হাতে আইন তুলে নেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে দন্ডনীয় অপরাধ। এ ভয়ংকর অপতৎপরতার প্রতিরোধে সরকার ও জনগনকে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এবং গঠনমূলক ও আইনানুগ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে অবহিত করা উম্মতের শীর্ষ স্থানীয় জ্ঞাণী গুণী সম্মানিত উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দ্বীনের যোগ্য প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে কাজ করে যাওয়ার তৌফিক দিন। আমীন।
মাওলানা উবায়দুল হক
চেয়ারম্যান, জাতীয় শরীয়াহ কাউন্সিল।
খতিব, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ।