ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকল্প ব্যক্ত করে বলেছেন, বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি’র পলাতক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এসে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যদি দিন দেয় ঐ সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ধরে নিয়ে এসে বাংলাদেশে তার বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।’
শনিবার নির্বাচনী প্রচারণায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন তিনি।
তিনি তারেক রহমানকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির মূল হোতা আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এটা রাজনীতি নয়, লন্ডনে বসে বসে নাটাই ঘোরায়, যে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে তাকে আর খেলতে দেব না।’
এর আগে শেখ হাসিনা সকালে ওলি-আউলিয়াদের পুণ্যভূমি সিলেটে এসেই হযরত শাহজালাল (র:), হযরত শাহ পরাণ (র:) এবং হযরত গাজী বোরহান উদ্দিন (র:) এর মাজার জিয়ারত করেন এবং সেখানে কোরআন তেলাওয়াত, ফাতেহা পাঠ করেন এবং মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেন। এরপর সেখান থেকে সমাবেশে যান।
সমাবেশে তিনি বলেন, বিএনপি- জামাত জোট বাঙালি জাতির মান সম্মান ভূলুন্ঠিত করেছিল। হত্যা, খুন, অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি- এটাই ছিল তাদের নীতি। রাতারাতি তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে বিশ্বে জঙ্গিবাদের দেশ, সন্ত্রাসের দেশ, দুর্নীতির দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচয় করিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মান সম্মান, ইজ্জত সব শেষ করে দিয়েছিল। আর তাদের অপকর্ম জন্যই ২০০৬ সালে দেশে জরুরি অবস্থা আসে। বাংলাদেশের মানুষের সব অধিকার হারিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা আওয়ামী লীগ সরকার নয় বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার আস্থাভাজন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব যাদেরকে তিনি (খালেদা জিয়া) নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে চাকরিতে পদোন্নতি দিয়েছিলেন, নিয়োগ দিয়েছিলেন, পদের দায়িত্বের জন্য নির্বাচিত করেছিলেন- (রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন এবং সেনাপ্রধান মঈনউদ্দিন) তারাই দায়ের করেছে। সেই মামলা ১০টি বছর আদালতে চলার পর আজকে খালেদা জিয়া জেলে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থে নির্মাণের এই একটা সিদ্ধান্তই বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে অনেক উচ্চ আসনে নিয়ে গেছে। সেই উচ্চ আসনটা ধরে রাখতে হবে।’
তিনি সিলেটের উন্নয়র চিত্র তুলে ধরে বলেন, সিলেট বিভাগে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি ‘শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নামে। যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, বিশেষ বরাদ্দ প্রদান ও ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি এবং চা’য়ের নিলাম চট্টগ্রাম থেকে সিলেট বিভাগে করে দেয়ায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান সভাপতিত্বে সমাবেশে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ স্থানীয় ও জাতীয় আওয়ামীলীগ নেতারা বক্তব্য দেন।
HRR