
বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে ২২৬ জন হতদরিদ্র পরিবারের থেকে চাঁদাবাজির করে প্রায় ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আ.লীগ নেতা লোকমানের বিরুদ্ধে।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আ.লীগের সভাপতি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন। তিনি সরকারদলীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলার সাহস পাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, লোকমান প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে ২২৬ জন গ্রাহকের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা করে প্রায় ১৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ৩ বছর আগে বিদ্যুতের পিলার ও তার এর লাইন দিলেও এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করেছে।
ওই ওয়ার্ডের কারিকর পাড়ায় দরবেশ বাড়ির জাকির হোসেন বলছেন, তার ২টি মিটারের জন্য ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছে ওই লোকমান। কিন্তু আজও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি বরং এক পিলার থেকে অন্য পিলারের দূরত্ব ২০০ থেকে ৩০০ ফুটের কথা থাকলেও ৫০০ ফুট দূরত্বে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া আব্দুল মন্নান, নকিব রব, আব্দুল আজিজ, সালাম, আব্দুর রহিম, নাসিরসহ অনেক গ্রাহক বলছেন, প্রত্যেক গ্রাহকদের কাছ থেকে লোকমান হোসেন ৭ হাজার টাকা নিয়েছে এখন আবার মিটারের জন্য ১২০০ এবং গাছের ডাল কাটার জন্য ৩০০ টাকা করে দাবি করা হচ্ছে।
তারা আরো জানান, আমাদের এলাকাটি হতদরিদ্র হওয়ায় প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা লোকমানের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না।
আ.লীগ সভাপতি লোকমান বলছেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তবে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আমি নেতৃত্ব দিচ্ছি।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বরগুনা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার সিকদার জানান, অফিস থেকে কোনো প্রকার টাকা পয়সা গ্রহণ করা হয়নি। পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ সম্পূর্ণ বিনাপয়সায়। কোনো প্রতারক যদি গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আদায় না করতে পারে সে জন্য আমরা আগেই গ্রাহকদের সচেতন করার জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছি।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস