এম ওমর ফারুক আজাদ
মানিকছড়ি সদর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে গচ্ছাবিল এলাকা। রাস্তার পাশের ছোট টিলায় দেখা গেলো একটি টিনশেড ঘর। ঘরটি জামাল উদ্দীন মৃধা নামে এক যুবকের। ঘরের আশেপাশে ছড়িয়ে আছে কয়েকটি খামার ঘর। খামারে আছে নানা রকম মুর্গি-হাঁস ও টার্কি।
খামার নিয়ে কথা হলো জামাল মৃধার সাথে। বললেন সফলতার গল্প, কিভাবে শুণ্য থেকে শুরু করেছিলেন।
শুরুটা দু'ছর আগে। জানালেন মাত্র দুইটি টার্কি দিয়ে শুরু করলেন তার এ যাত্রা। শখের বসে পালন করেছিলেন এগুলো। এক পর্যায়ে গিয়ে মা টার্কি ডিম দিলে দেশি মুর্গির ওম দিয়ে বাচ্চা ফোটান। এভাবে একটি, দুইটি করে বাচ্চা উৎপাদনের মাধ্যমে এতে লাভ দেখলে পেশা হিসেবে নেন তিনি।
গড়ে তোলেন “মৃধা টার্কি ফার্ম” নামের খামার। বর্তমানে প্রায় চার একর জায়গায় আলাদা আলাদা খামার ঘরে প্রায় ১১০০ টাইগার জাতের মুর্গি, ১০০টি টার্কি, ১৫টি বেদারনাথ জাতের মুর্গি ও প্রায় ১৫০টি বেইজিং হাঁস রয়েছে।
টাইগার মুর্গিগুলো ছয় মাসে প্রায় পাঁচ কেজি হয়ে থাকে, যার বাজারমূল্য কেজি প্রতি ৩৪০-৩৫০টাকা করে। আর বেইজিং (সাদা রঙের) হাঁসগুলো ৩মাসে ৩.৫ থেকে ৪ কেজি হয়ে থাকে।
এছাড়াও বাচ্চা উৎপাদনের জন্য রয়েছে মেশিনও যা দিয়ে বাচ্চা ফোটানোর মাধ্যমে বাড়তি আয় করছেন। মুর্গি আর টার্কি ছাড়াও কবুতর, গরুও রেখেছেন খামারে।
খামার করে কেমন লাভবান হচ্ছেন জানতে চাইলে বললেন, প্রথম বছর প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা লাভ করেছেন। খামারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা, সম্ভাবনা ও সমস্যার কথা জানতে চাইলে জামাল মৃধা বলেন, এটা একটা লাভজনক প্রজেক্ট।
বাংলাদেশে টাইগার মুর্গি ও বেইজিং হাঁসের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষিত বেকাররা যদি চাকরির পেছনে না দৌড়ে খামার করতে আগ্রহি হয়ে উঠে তাহলে একদিন নিজেরাই চাকরি দিবে। ভবিষ্যতে বিরাটাকারের হ্যাচারি ও গরুর খামার গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও বলেন তিনি। তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প থেকে যদি আর্থিক সহায়তা পাই তাহলে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারবো বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।