ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে টেরেসা মে ও লেবার পার্টির মধ্যে ছয় সপ্তাহ ধরে চলে আসা আলোচনা কোনো মতৈক্য ছাড়াই শেষ হলো৷লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে টেরেসা মে'র সঙ্গে আর আলোচনা সম্ভব নয়৷ ফলে ব্রেক্সিট বিষয়ে আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে যাচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷
ডয়চে ভেলের এক সংবাদে উল্লেখ করা হয়, থেরেসা মে’কে পাঠানো এক চিঠিতে জেরেমি করবিন বলেন, ‘‘ব্রেক্সিট বিষয়ে তাদের পক্ষে যতদূর সম্ভব ছিল সে পর্যন্ত তারা আলোচনা করেছেন৷'' ব্রেক্সিটের বিষয়ে এই দুই দলের অনেক নীতিগত পার্থক্য রয়েছে বলেও চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন৷
কনজারভেটিভ পার্টির সমালোচনা করে করবিন বলেন, নতুন নেতা নির্বাচনের বিষয়ে কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রস্তাব সরকারকে আরেও নাজুক অবস্থায় ফেলে দিয়েছে৷ ব্রেক্সিট বিষয়ে একটি সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সামর্থ্যও এ সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
ব্রেক্সিটের একটি কার্যকর উপায় খুঁজে বের করতে গত ছয় সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল এ দুই রাজনৈতিক দল৷ তবে ব্রেক্সিটের বিষয়ে লেবার পার্টিকে কোনো ছাড় দেওয়া হলে তা কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে- টেরেসা মে এ বিষয়ে সতর্ক ছিলেন৷
লেবার পার্টির প্রস্তাব তিন বার দেশটির পার্লামেন্টের অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়েছে৷ আগামী জুন মাসের প্রথম দিকে আবারেও অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টে ওঠানো হবে মে'র প্রস্তাব, যদিও ব্রেক্সিট বিষয়ে লেবার পার্টির বিরোধী সদস্যরাই এ সংক্রান্ত প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
তবে মে'র প্রস্তাব সংসদে অনুমোদিত হলে আগামি জুলাই মাস নাগাদ ইউরোপীয় জোট থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে বৃটেন৷
আইএ/পাবলিক ভয়েস