
অবশেষে রাজধানীর ৫৯টি এলাকায় নিজেদের সরবরাহ করা পানি দূষিত বলে স্বীকার করেছে ঢাকা ওয়াসা। এই প্রথম ওয়াসার দূষিত পানির বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সকালে বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এসময় আদালত কেবল পানি উৎপাদন করা ওয়াসার এমডির দায়িত্ব নয়, মানুষের দোরগোড়ায় বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়ায় তার কাজ বলে মন্তব্য করেন।
ওয়াসার পানি দূষণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধানের মতামত জানতে চায় আদালত। ২১ মে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত তিন মাসে রাজধানীর ২৯২টি বাসা থেকে পানি দূষিত বলে ঢাকা ওয়াসার কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। ওয়াসার ১৬১৬২ এই হটলাইনে ফোন করে গ্রাহকরা অভিযোগ দেন।
দূষিত পানি ওয়াসার তিনটি ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। পানি পরীক্ষায় প্রায় ৭৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। গত ১৩ মে এই পানি পরীক্ষার ব্যয় প্রতিবেদন আকারে দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু দাখিল না করে এক সপ্তাহ সময় চাওয়ায় হাইকোর্ট বলে, হাইকোর্টকেই হাইকোর্ট দেখাচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা না হলে সংশ্লিষ্ট কমিটির অতিরিক্ত সচিবকে তলব করা হবে। আদালতের কঠোর এই বার্তার পরই বুধবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গত ৮ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয় আদালতে। এতে পানি পরীক্ষায় কমিটি গঠন ও কমিটির কার্যপরিধি তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি অর্থ বরাদ্দ হলে ৪ মাসের মধ্যে পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
আইএ/পাবলিক ভয়েস