সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিল প্রবাসীদের জন্য সম্প্রতি স্থায়ী বা অস্থায়ী ভিত্তিতে রেসিডেন্ট পারমিট দেওয়ার বিধান রেখে একটি রেসিডেন্ট পারমিট আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।
সৌদি গেজেট পত্রিকা বলছে, এর আওতায় পার্মানেন্ট বা টেম্পোরারি রেসিডেন্সি ভিসা অর্থাৎ স্থায়ী বা অস্থায়ী ভিত্তিতে বসবাসের করার ভিসা যারা পাবেন, তারা বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করবেন।
'প্রিভিলেজড ইকামা' নামে এই প্রকল্পটি সাধারণভাবে পরিচিত হয়ে উঠছে সৌদি গ্রিন কার্ড নামে।
তিন বছর আগে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান প্রথমবারের মতো সৌদি গ্রিন কার্ডের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
আইনটি কার্যকর হলে দেশটির বর্তমান জটিল ও আমলাতান্ত্রিক ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদি আরবে এখন প্রবাসীদের এখন সাধারণত স্থানীয় একজন স্পন্সরের প্রয়োজন হয় এবং প্রবাসীরা সেখানে রেসিডেন্ট পারমিট পান না।
'গ্রিন কার্ড' আইনে কী থাকছে?
প্রস্তাবিত এ আইন অনুযায়ী একজন বিদেশী নাগরিক নির্ধারিত ফি দিয়ে সৌদি আরবে বসবাস, কাজ, ব্যবসা ও নিজের সম্পদ তৈরি করতে পারবেন।
একই সাথে প্রবাসীদের জন্য এখন যে স্থানীয় স্পন্সর দরকার হয়, এ আইনের আওতায় যারা স্থায়ী বা অস্থায়ী রেসিডেন্ট পারমিট পাবেন, তাদের আর সেই ধরণের স্পন্সরের দরকার হবে না।
আরব নিউজ পত্রিকা দেশটির সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য দেশটির মন্ত্রিসভায় যাবে আইনের খসড়া।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের কি লাভ হবে?
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক বাংলাদেশী নামী-দামী শিক্ষক আছেন। দেশটিতে অনেক নামকরা চিকিৎসক এবং প্রকৌশলী বাংলাদেশী নাগরিক। ব্যবসা করেও অনেকে সুনাম কুড়িয়েছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী।
"এরা সবাই চাইলে এ সুযোগ নিতে পারবেন, কারণ এটা করা হবে খুবই দক্ষ পেশাজীবী বা যাদের ভালো মূলধন তহবিল আছে অথবা যারা বড় ধরণের বিনিয়োগ করতে পারবেন"।
ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, নতুন প্রস্তাবিত ব্যবস্থা চলমান যে ইকামা বা স্পন্সর নেয়ার পদ্ধতি আছে, তা থেকে ভিন্ন - তাই এটিকে বলা হচ্ছে প্রিভিলেজড ইকামা।
"অর্থাৎ হাই স্কিলড ব্যক্তিরা চাইলে এ সুযোগ নিতে পারবেন। আর তাদের জন্য স্থানীয় স্পন্সর দরকার হবে না"।
তার মতে, সৌদি আরবে অনেক বাংলাদেশী আছেন, যারা ব্যবসা করে সুনাম কুড়িয়েছেন এবং সফল হয়েছেন। সৌদি গ্রিন কার্ড পদ্ধতি চালু হলে এবং তাঁরা চাইলে গ্রীন কার্ড সুবিধা নিয়ে পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
মোহাম্মাদ ফখরুল ইসলাম অবশ্য জানিয়েছেন যে সৌদি আরবের মন্ত্রিসভা আইনটিতে অনুমোদন দেয়ার মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে। সূত্র: বিবিসি।
আইএ/পাবলিক ভয়েস