একাত্তরে দেশবিরোধী ভূমিকার জন্য জামায়াতকে আবারো জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

‘মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি’ শীর্ষক সভায় জাফরুল চৌধুরী বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অন্যতম শরীক দল হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। সুতরাং তারা যদি সত্যিকার অর্থে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় তাহলে তাদেরকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে। আজ তাদের পিতারা যে ভুল করেছেন তার জন্য বর্তমানে যারা আছে তাদেরকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার যুক্তি সঙ্গত কারণ হবে। কারণ তাদেরও রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারপাশে ‘র’ পরিবেশিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘র’ চিন্তা চেতনার কারণেই খালেদা জিয়া আজ জেলে। আর খালেদা জিয়াকে বের করে আনতে সামগ্রিক আন্দোলনের প্রয়োজন। সেই আন্দোলনের মূল ভূমিকা বিএনপিকেই রাখতে হবে। বিএনপিকে সকল প্রকার ভুল-ত্রুটি ভুলে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ বলেন, খালেদা জিয়াকে আটক রেখে আপনি মহাভুল করছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া তিন মাস আত্মগোপনে ছিলেন। তারপর তিনি যখন গ্রেপ্তার হন তখন সেনানিবাসে আবদ্ধ ছিলেন। ধানমন্ডির বাড়িতে দুজনেই একসাথে ছিলেন। কিন্তু আজ একজন বন্দি আর একজন বাহিরে! তাই আপনি আত্মরক্ষা করতে চান তাহলে আর দেরি না করে খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যবস্থা করে দিন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিষয়ে তিনি বলেন, গত ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ তারিখে হওয়াটা ঐক্যফ্রন্টের একটা ব্যর্থতা বলতে পারেন। আর কোন সুযোগ নাই। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এলডিপির সভাপতি কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পারোয়ার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস