বিয়ের আগে ওমান প্রবাসী শামীম ফয়সালের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাশ্ববর্তী গ্রামের কন্যা উম্মে রোম্মান নিশাতের। উভয় পরিবার তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়েনি। পরে সৌদি প্রবাসী আরিফের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় নিশাতের। তাদের এই বিবাহের ৫ বছরের মাথায় নিশাত তার পূর্বের প্রেমিকের সাথে এক শিশু কন্যাকে নিয়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এই ঘটনায় সোমবার নিশাতের শাশুড়ি খোদেজা আক্তার চৌধুরী বাদী হয়ে গৃহবধু নিশাত, তার বাবা চিওড়া ইউনিয়নের ছোট সাতবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, মা আফসার বেগম, প্রেমিক কান্দিরপাড় গ্রামের জিএম শামীম ফয়সালের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে গুরুত্ব দিয়েছেন-নাতনিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, আরিফ সম্পর্কে মেয়ের ফুফাতো ভাই। বিবাহের পরে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর নিশাতের প্রেমিক শামিমও জীবিকার টানে ওমান চলে যান।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, বিগত ৪ থেকে ৫ মাস পূর্বে নিশাত কন্যাসহ বেড়ানোর কথা বলে স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে চলে যায়। গত ৫-৭ দিন পূর্বে নিশাতকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর কথা বললে তার মা ও বাবা বলে কয়েকদিন পরে যাবে। এরমধ্যে লোকমাধ্যমে শোনা যায় পূর্বের প্রেমিক শামীমের সাথে নিশাত তার চার বছর বয়সী মেয়েসহ পালিয়ে গেছে।

নিশাতের শাশুড়ি জানান, বিবাহের পর থেকেই স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে নিশাত পূর্বের প্রেমিক ফয়সালের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতো। এ নিয়ে পারিবারিক কলহেরও সৃষ্টি হয়। এসব ঘটনায় আমার ছেলে দেশে এসে ফয়সালের সাথে নিশার কথোপকথনের কললিস্টও বের করে।

চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাছির উদ্দিন জানান, গৃহবধূর পলায়নের প্রেক্ষিতে এবং নাতনির সন্ধান চেয়ে গৃহবধুর শাশুড়ি চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা গৃহবধু ও কন্যা সন্তানটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস