গ্রেফতারের মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে কোতোয়ালি থানার কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তাকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদালতের গেট থেকে সারোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও পুলিশ মামলার অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে গ্রেফতারের মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই জামিনে মুক্তি পান ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার।

গত ৯ মে বিকেলে ১২ থেকে ১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় আক্রান্ত একজনকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বললে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।

কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরি দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন। ঘটনার পর নিশাত নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় গত শনিবার (১১ মে) ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফেরদৌস হাসান।

গতকাল সোমবার রাতে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদালতের গেট থেকে সারোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস