নেত্রকোনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত এবং অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন ও মোটর মেকানিক অচিন্ত হাজং।
নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে সদর উপজেলার সাকুয়া নামক স্থানে রোববার সন্ধ্যায় সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কাপড় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৫জন। নিহতের বাড়ি জেলার কলমাকান্দার কনারকান্দা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা পৌর সভার পারলা আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মহুয়া গেইট লক সার্ভিসের একটি যাত্রবাহীবাস আজ রোববার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। বাসটির সাথে সাকুয়া নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির চালকসহ ৬জন আহত হয়।
এলাকাবাসী আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সিএনজি যাত্রী জেলার কলমাকান্দার কনারকান্দা গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন মারা যান। অন্যদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার কথা শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে কলমাকান্দায় মোটরবাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অচিন্ত হাজং (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বিকেল ৩ টার দিকে কলমাকান্দা-খারনৈ সড়কের খারনৈ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অচিন্ত হাজং কলমাকান্দা খারনৈ ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের কংস রাজ হাজংয়ের ছেলে। তিনি পেশায় মোটর মেকানিক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়হ সূত্র জানায়, অচিন্ত মোটরবাইক চালিয়ে তার বাড়ি থেকে পাশের নিজ কর্মস্থল গোবিন্দপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। খারনৈ এলাকায় মোটরবাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনি পড়ে যান।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আশেক উল্লাহ খান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বুকে ও মাথায় চাপা আঘাতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস