গির্জায় খোলামেলা পোশাক পরিহার করতে নারীদের উপদেশ দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মিশরের একজন কপ্টিক যাজক৷ অনেকে সমালোচনামুখর হলেও কেউ কেউ পাশেও দাঁড়াচ্ছেন তার৷
গত ৩০ এপ্রিল অর্থোডক্স ইস্টারের ভাষণে ‘অশালীন' পোশাকের জন্য খ্রীষ্টান নারীদের কঠোর সমালোচনা করেন ফাদার দাউদ লামে৷ মিশরের রাজধানী কায়রোর উপকণ্ঠের একটি গির্জার এই পার্দ্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয়৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দাউদ লামে-কে বলতে শোনা যায়, ‘খোলামেলা ও অশালীন পোশাকে বালিকা ও নারীরা কেন গীর্জায় আসবে? যে এটা করবে, সে শেষ বিচারের মুখোমুখি হবে৷'
তিনি আরও বলেন, ‘যে পুরুষ তার স্ত্রী-কে এমন খোলামেলা পোশাকে বের হতে দেবে, তাকেও স্রষ্টার সামনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে৷'
প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে অর্থোডক্স ইস্টার পালন করে থাকেন মিশরের প্রধান সংখ্যালঘু কপ্টিক খ্রীষ্টানরা৷ ১০ কোটি জনসংখ্যার মুসলিম দেশটিতে তাদের সংখ্যা ১২ শতাংশ৷
ভাষণে নারীদের পোশাক নিয়ে কৌতুকও করেন ওই পার্দ্রী৷ ‘অন্তত বড়দিনের সময় এমন তেজী পোশাক পরবেন না, কারণ, ওই সময়ে বেশ ঠান্ডা থাকে৷ আমরা চাই, সবসময়ই অমন ঠান্ডা থাকুক', বলেন তিনি৷
যাজকের এমন বক্তব্য নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে মিশরের খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ বিতর্ক চলছে বলে উল্লেখ করা হয় এএফপির প্রতিবেদনে৷ অনেকে তার কঠোর সমালোচনা করছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন- যাজক এমন উপদেশ দিতেই পারেন৷
সান্দ্রা আওয়াদ নামে ২২ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তিনি কেবল নারীদের নিন্দা করছেন... কিন্তু গির্জায় নারী-পুরুষ সবার জন্য যথাযথ ড্রেসকোড এবং আচরণ নিয়ে কোনো কথা বলছেন না৷'
তবে যাজকের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে এক নারী ফেসবুকে লিখেছেন, পার্দ্রী ‘সবার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে কথা বলেছেন... যাতে সবাই জাগতে পারে এবং গীর্জার প্রতি সম্মান দেখায়৷'
নিজের বক্তব্য এবং সমালোচনার বিষয়ে এএফপির প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি দাউদ লামে৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস