
গুয়াতেমালার রাজধানীর কাছে অবস্থিত একটি কারাগারে গোলাগুলির ঘটনায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ওই কারাগারের সহিংসতা বন্ধ করতে সেখানে প্রায় ১৫শ সেনা এবং পুলিশ কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারাগারের দুই বন্দীর মধ্যে প্রথমে মারামারি শুরু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওই দুই বন্দীর একজন নেশাগ্রস্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
গুয়াতেমালা শহরের কাছে অবস্থিত প্যাভন কারাগারটিতে কমপক্ষে চার হাজার বন্দী রয়েছে। অথচ ১৯৭০ সালে নির্মিত এই কারাগারটির ধারণ ক্ষমতা মাত্র এক হাজার।
সংবাদ সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার প্রায় আট ঘণ্টা কারাগারটির নিয়ন্ত্রণ ছিল বন্দীদের হাতে।
গুয়াতেমালা কারাগার রক্ষণাবেক্ষণের মুখপাত্র কার্লোস মোরালস রয়টার্সকে বলেন, ইতোমধ্যেই কারাগারটিতে প্রবেশ করে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এর আগে ২০১৬ সালে ওই একই কারাগারে এক দাঙ্গায় ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস