রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমযানুল মোবারকের পবিত্রতা রক্ষা করতে সর্বস্থরের মুসলমানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী৷ তিনি পবিত্র রমযানে গরীব অসহায় মুসলমানদের প্রতি সকলকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন।
৭ ই মে প্রথম রমযান মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এ বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, মহান আল্লাহ এই মাসে পবিত্র 'কুআনুল কারিম' অবতীর্ণ করার মাধ্যমে এ মাসকে মহিমান্বিত এবং বরকতময় করেছেন। রমযানুল মোবারক আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের বিশেষ এক মাস৷ মুসলিম উম্মাহর কাছে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। যাবতীয় পাপ কাজ পরিত্যাগ করে রমযান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করা আমাদের সকলের জন্য অপরিহার্য ৷ তাই প্রত্যেকেই নিজে রমযানের পবিত্রতা রক্ষা করার পাশাপাশি অন্যকেও এ ব্যপারে সচেতন করে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে রমযানুল মোবারক ৷ আত্মশুদ্ধির জন্য প্রথম করণীয় হলো যাবতীয় পাপকাজ পরিত্যাগ করে মহান প্রভুর ইবাদতে মনোনিবেশন করা ৷ তাহলেই কেবল এ মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন হবে৷
রমজানে চিনি-ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহব্বান জানিয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, এ মাস একে অন্যের প্রতি সাহায্য- সহানুভূতির মাস ৷ নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকলে সমাজের গরীব, মিসকিন, ইয়াতিম, অসহায় ও সাধারণ অনেক রোজাদার চাইলেও মনমত ইফতার সাহরী করতে পারে না৷ তাই রমযানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখে রোজাদারদের ইফতার সাহরীতে বিশেষ সহায়তা করুন ৷
সমাজের গরীব, মিসকিন, ইয়াতিম, অসহায় ও সাধারণ মুসলমানদের জন্য ইফতার সামগ্রী বিতরণ সহ আনন্দচিতত্ত্বে তারাও যেন ইফতার সাহরী করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে সমাজের বিত্তবানদেন প্রতি আহবান জানিয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হাদীস শরীফে রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ব্যক্তির গুনাহ ক্ষমা করা হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হবে এবং রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব তাকে দেয়া হবে৷ তাই সমাজের বিত্তবানদের উচিত এ মাসে গরীব-দুঃখীদের খোঁজ খবর রাখা ৷
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, রমযানুল মোবারকে গরীব, দুঃখীদের পাশাপাশি বিশেষ করে সকল মুসলমানদেরকে সাধ্যানুযায়ী ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা আমাদের সকলের অন্যতম দায়িত্ব৷ তারা আমাদের ভাই, সারাদিন রোজা রাখার পর তারাও যেন আনন্দচিত্তে ইফতার করতে পারে সে ব্যবস্থাটুকু করে দেয়া আমাদেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য৷
অধিনস্থ কর্মজীবিদের কর্ম হালকা করা, দিনের বেলায় হোটেল রেস্তোরা বন্ধ রাখা, টিভি সিনেমা বন্ধ রাখা, গিবত, পরনিন্দা, হিংসা, বিদ্বেষ, চোগলখুরি, অহঙ্কার ও কৃপণতার মতো গর্হিত কাজগুলো পরিত্যাগ করা সহ যাবতীয় গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে একাগ্রতার সহিত পুরো মাস ইবাদত করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের আহব্বান জানান আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী৷