মাদারীপুরের শিবচরে আবাসিক হোটেলে নিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী একাধিকবার ধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার।

আজ সোমবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেল খান এবং সহযোগিতা করার অভিযোগে ওই হোটলের ম্যানেজার খায়রুল ও হোটেল বয় রোনাল্ডকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রুবেল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় নিহতের মা শিবচর থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছেন।

পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার আরো জানান, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে গত রোববার দুপুরে ওই হোটেলের তৃতীয়তলা ভাড়া নেয় ইন্নি ও রুবেল। পরে ইন্নিকে যৌন উত্তেজক এবং চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে রুবেল। একপর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ইন্নির মারা গেলে কৌশলে হোটেল থেকে রুবেল পালিয়ে যায়। রাতে ওই হোটেলের এক কর্মচারী রুমের দরজা খোলা অবস্থায় ইন্নির মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চেহারা শনাক্ত করে নিজ বাড়ি থেকে রাতেই রুবেল আটক করা হয়। এ ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে ওই হোটলের ম্যানেজার মো. খায়রুল ও হোটেল বয় রোনাল্ডকে আটক করে পুলিশ।

প্রধান অভিযুক্ত রুবেল কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার তোতা খানের ছেলে। নিহত ইন্নী শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ও শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মুন্সীকান্দি গ্রামের মৃত ইলিয়াস মুন্সীর মেয়ে।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস