
ভোলা প্রতিনিধি: সমুদ্রে ৬৫ দিন (২০ মে থেকে ২৩ জুলাই) মাছ ধরা বন্ধে ভোলায় জেলেদের সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. অলিউর রহমান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন, কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কর্মকর্তা লেফটেনেন্ট ওয়াসিম, বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপ-প্রকল্প পরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. অসাদুজ্জামান, নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র পাল, জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভপতি নুরুল ইসলাম, সম্পাদক মামুনুর রশিদ প্রমূখ।
এছাড়াও কর্মশালায় জেলার ৭ উপজেলার সাগরে মাছ আহরন করা জেলে ও বিভিন্ন জেলে সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কতৃক যে কোন প্রকার মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে। ২০১৫ সাল থেকে এই আইনটি চালু আছে। এই সময়টাতে ইলিশসহ অন্যান্য বড় বড় মাছের প্রজনন মৌসুম। এসময় মাছ শিকার করলে মৎস্য উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয়। তাই জেলেদের নিষিদ্ধকালিন সময়ে মাছ না ধরতে পোষ্টার, ব্যানার, লিফলেট, বিলবোর্ড ও জেলে পল্লীতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।
তারা আরো বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে আজকে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের প্রজনন নির্বিগ্ন হলে মাছের পরিমাণ আরো বাড়বে। একইসাথে বছরের ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখলে বাকি ৩০০ দিন ৩ থেকে ৪ গুন মাছ বেশি পাওয়া যাবে।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস