
শ্রীলঙ্কার গির্জা ও অভিজাত হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ পর্যন্ত ১৮৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৫ শতাধিকেরও বেশি মানুষ। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে রাজধানী কলম্বো ও এর আশপাশের গির্জা এবং অভিজাত হোটেলে এ হামলা চালানো হয়।
শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম বলছে, আজ রোববার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপন করা হচ্ছিলো গির্জাগুলোতে। এর মাঝে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে বোমা হামলা হয়।

এর আধাঘণ্টার মধ্যেই রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেন্ট সেবাস্টিন চার্চ ও ২৫০ কিলোমিটার দূরে বাট্টিকালোয়ার জিওন চার্চেও বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এছাড়া রাজধানী কলম্বোর কিংসবারি, সাংগ্রিলা এবং সিনামোন গ্র্যান্ড হোটেলেও তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই হোটেলে অসংখ্য বিদেশি নাগরিক ছিলেন। বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কিংসবারি হোটেল।
পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, পৃথক হামলায় এ পর্যন্ত ১৮৫ জন নিহত হয়েছেন। আর ৫০০ এর বেশি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর দুপুরের হামলায় আরও দুইজনসহ মোট ১৫৮জনের মৃত্যু হয়েছে।
সেন্ট সেবাস্টিন চার্চ কর্তৃপক্ষ হামলার পরের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, চার্চের ভেতর বোমা বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে ও মেঝেতে রক্তের দাগ লেগে আছে।
[caption id="attachment_26798" align="aligncenter" width="538"]
শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় ৩৫ বিদেশিসহ নিহত ১৮৫[/caption]
এদিকে দুপুরে রাজধানী দেশটির রাজধানী কলম্বোর দেহিওয়ালা জেলার উপকূলের একটি ছোট্ট হোটেলে সপ্তমবারের মতো বিস্ফোরক হামলা হয়। আরেকটি হামলা হয়েছে কলম্বোর দেমাতাগোদা জেলায়। এ ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়। হামলায় হতাহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইত্রিপালা সিরিসেনা এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

হামলার পর শ্রীলঙ্কার স্কুল-কলেজ দুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে এ বোমা হামলার ঘটনাটির পর এখন পর্যন্ত দু’জন বাংলাদেশি ‘আনঅ্যাকাউন্টেড ফর’। এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা জেনেছি একটি পরিবারের চারজনের মধ্যে দু’জন ‘রিপোর্টেড’ (তাদের খোঁজ আছে)। বাকি দু’জনের একজন শিশু ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ‘আনঅ্যাকাউন্টেড ফর’। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো কিছুই জানা যায়নি। আমরা আশা করছি তাদের কোনো হোটেল বা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আমরা জানতে পারলেই জানিয়ে দেওয়া হবে
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস