অগ্নিদগ্ধ মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আজ (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার পর দাদির কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। সোনাগাজী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নুসরাতের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নুসরাতের বাবা একেএম মানিক মেয়ের জানাযা পড়িয়েছেন।
টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নুসরাত। নুসরাতের মৃত্যুর পড়ে চারিদিকে ছাড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শোক প্রকাশ করেছেন এবং আসামির ব্যাপারে কঠর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এরপর নুসরাতের বান্ধবীর দিয়ে কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়।
পরে নুসরাতকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
খুনি সিরাজ উদ দৌলা ও তার সহযোগিদের বিচার দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ পালিত হয়েছে। এ ঘটনায় জেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে তোলপাড়। অনেকেই নুসরাতের খুনির দ্রুত বিচার দাবি করছেন। তাদের দাবি সময় অতিক্রম করলে পরে বিচার নাও হতে।
আইএ