
মৃত্যুশয্যায় এক ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ করলেন জাম্বিয়ার এক নার্স। অনুশোচনায় দগ্ধ এ নারী জানান, ১২ বছরের কর্মজীবনে মজার করতে গিয়ে তিনি প্রায় ৫ হাজার শিশু অদল-বদল করে দিয়েছিলেন।
আফ্রিকার জাম্বিয়ার ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের ওই নার্সের নাম এলিজাবেথ মুয়েআ। বর্তমানে মরণরোগ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। নিজের এই কৃতকর্মের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ওই সেবিকা।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে এ প্রসঙ্গে জাম্বিয়ার অবজারভারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুয়েআ বলেন, 'আমি খুব শিগগিরই মারা যাব। তবে মারা যাওয়ার আগে আমি আমার অপরাধ স্বীকার করতে চাই। বিশেষ করে ঈশ্বরের কাছে এবং সেইসব লোকদের কাছে যারা ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিয়েছেন।'
শয্যাশায়ী ওই বৃদ্ধা নার্স বলেন ‘আমি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত অন্তত ৫ হাজার শিশুকে অদল-বদল করেছি। কোনো কিছুর লাভে এটা করিনি। স্রেফ মজা করতে এই ঘৃণ্য কাজ করেছি আমি। আমি এখন অনুতপ্ত। আমি চাই ঈশ্বর এবং জাম্বিয়ানরা আমাকে ক্ষমা করুক’।
তিনি বলেন, “আমি এখন ক্যানসারে আক্রান্ত। শিগগিরই আমি মারা যাব। সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমার এ পাপের কথা স্বীকার করলাম। আমি ক্ষমা চাচ্ছি সেই সব পরিবারের কাছে, যাদের প্রতি আমি এ অন্যায় করেছি।”
খ্রিষ্টধর্মের অনুসারী এ নারী আরও বলেন, “আমি সকল জাম্বিয়াবাসীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। এমন অন্যায় কাজ আমি ওই সব নিষ্পাপ শিশুদের সঙ্গে করেছি। মৃত্যুর পর আমি নরকে যেতে চাই না। আমি অনেক অন্যায় করেছি। আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে ক্ষমা করে দিন।”