আফগানস্তানে বিভিন্ন হামলায় শত শত লোক হতাহত হয়েছেন গত কয়েক মাসে৷ এ কারণে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে৷ এছাড়া জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সীমাবদ্ধতার বিষয়টিও উঠে এসেছে বলেছে জানানো হয়েছে ডয়চে ভেলের এক সংবাদে।
সংবাদে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং তালেবানসহ বিভিন্ন সংঘটন হামলার দায় স্বীকার করছে এবং এসব গোষ্ঠীর হাতে থাকা বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে৷
সংবাদে আরও বলা হয়েছে যে, গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়ে তালেবান বসন্তকালীন হামলা শুরু করেছে৷ দেশটিতে পূরিপূর্ণ ইসলামি শাসন চালু করতে চায় তারা৷
তালেবানের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর আরও আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা ঘোষণা করার প্রতিক্রিয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংঘঠনটি।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে আরও মার্কিন সেনা মোতায়েনের চিন্তা করছেন৷ এই সেনারা আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার কাজ করবে৷ এছাড়া যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন সেখানে মার্কিন উপস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প৷
ফেব্রুয়ারি মাসে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তালেবানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তালেবান এ ব্যাপারে আলোচনা করাটা ভালো মনে করেনি৷
তাদের অভিযোগ, আলোচনার প্রস্তাব একটি ‘ষড়যন্ত্র’৷ বর্তমানে তালেবানের হাতে ২০০১ সালের পর সবচেয়ে বেশি আফগান জেলার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে৷
ক্ষমতার অফুরন্ত লড়াইয়ের মাঝে জনমত সমীক্ষায় প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছে৷
আইএ