তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে রজব তাইয়েব এরদোগানের দল একে পার্টি বিপুল ভোটে ফের নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল (৩১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হওয়া স্থানীয় এ নির্বাচন একে পার্টির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জরিপ করেছিল এবং রিপোর্ট দিয়েছিল এরদোগানের দল স্থানীয় নির্বাচনে হেরে যেতে পারে বলে। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এ নির্বাচনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের দল একে পার্টি বিপুল পরিমাণ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেছে।
ফলাফল ঘোষণার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এরদোগান জনগনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “১৫টি নির্বাচনে জনগণ আমাদের ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত করেছে”। তারা ৫৭ শতাংশ পৌরসভায় একে পার্টিকে জনগণ নির্বাচিত করেছে। আমি সকল জনগণকে ধন্যবাদ জানাই বিশেষ করে কুর্দিদের। তারা আমাদের পুনরায় সেবা করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আজ তুরস্কের আঙ্কারায় একে পার্টির সদর দপ্তরের সামনে থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়া হবে।
[caption id="attachment_22200" align="alignnone" width="300"]
স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন এরদোগান। পেছনে দাড়িয়ে তার স্ত্রী।[/caption]
সর্বশেষ ফলাফল অনুসারে ক্ষমতাসীন জোটের প্রাপ্ত ভোট; ৫১.৭৪% এবং বিরোধী জোটের;৩৭.৬৪%। এর মাঝে একে পার্টির ভোট ৪৪.৯৫%, যা আগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ছিল ৪৫.৫%। দলগুলোর ভোটের অনুপাত আগের নির্বাচনের তুলনায় খুব বেশী পরিবর্তন হয়নি। কারো ১-২% কম কিংবা বেশী।
কিছু সিটিতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না আসায় জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছেন এরদোগান। এরদোগান বলেন, আগামীকাল আমরা বসবো। আমার ত্রুটিগুলো আমরা বিশ্লেষণ করবো।
একে পার্টি জোট প্রধান শহর ইস্তান্বুলে মেয়র পদে জয়লাভ করলেও রাজধানী আনকারার মেয়র পদে পরাজিত হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শহর আনতালিয়াও একে পার্টির হাতছাড়া হয়েছে। মোট ৩০ টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে এই নির্বাচনের আগে একে পার্টির মেয়রের সংখ্যা ছিল ১৮ জন। এই নির্বাচনে ২ জন কমে ১৬ জনে দাড়িয়েছে। বাকী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌরসভাগুলো খুববেশী হাতছাড়া হয়নি একে পার্টির।
এরদোগান বলেন, আগামী দিনগুলোতে দল ও তুরস্কে অনেক পরিবর্তন আসবে। আগামী সাড়ে চার বছর কোনো নির্বাচন হবে না, তাই বলে আমরা কি বসে থাকবো? আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করবো। আশাকরি আমাদের দেশের অনেক উত্থান ঘটবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে অর্থনীতিকে শক্তিশালী, উন্নয়ন অব্যাহত ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া। বিশেষ করে তুরস্কের লক্ষ্য হলো সিরীয় শরনার্থীদের মানবিজ ও ফোরাতের পূর্ব পাড়ে নিরাপদে স্থানান্তরিত করা।
সূত্র : আনাদুলু নিউজ এজেন্সি