
নাজমুল হাসান, চবি: চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে আজ ২৮ মার্চ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.৩০মি. পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক সমাজ ‘হলুদ দল’ ৫টি সম্পাদকমন্ডলী ও ৬টি কার্যনির্বাহী সদস্যপদসহ সর্বমোট ১১টি পদে জয়লাভ করেছে। এ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
নির্বাচনে আইন বিভাগের প্রফেসর মো. জাকির হোসেন ৪২১ ভোট পেয়ে সভাপতি, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. তৈয়ব চৌধুরী পেয়েছেন ১৬২ ভোট। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ (লিপন) ৩৯৬ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস-এর প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন পেয়েছে ১৬৭ ভোট।
একাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী ৩৮৬ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১৭০ ভোট। জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী ৩৩৪ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ১২৯ ভোট।
প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম (সোহেল) ৪২৫ ভোট পেয়ে যুগ্ম-সম্পাদক, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস-এর সহযোগী অধ্যাপক জনাব মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ১৩৬ ভোট।
সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইকবাল আহমেদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সুলতানা সুকন্যা বাশার, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মাজহারুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর বকুল চন্দ্র চাকমা এবং একাউন্টিং বিভাগের প্রফেসর ড. রনজিত কুমার চৌধুরী।
নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, হলুদ দলের আহবায়ক প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ ও হলুদ দলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, নব নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি সহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে চবি শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদ নির্বাচিত হওয়ায় নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি ১৯৪৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের সকলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, এ বিজয় মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, এ বিজয় জাতির জনকের আদর্শের বিজয়; এ বিজয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিজয়।
উপাচার্য এ বিজয়কে সুসংহত করতে সকলকে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। তিনি নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনতে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁদের বক্তব্যে ভাষণে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সুযোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বে বিগত সাড়ে তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক-প্রশাসনিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে যে অভূতপূর্ব বিপ্লব সাধিত হয়েছে এরই ফলশ্রুতিতে শিক্ষক সমিতির আজকের এ বিজয়।
বক্তারা উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে নিয়ে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে চবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এম এ গফুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।