পাবলিক ভয়েস: কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশ ও পথচারীসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বরুড়া উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই এলাকায় দুই পক্ষের উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এএনএম মইনুল ইসলাম ও তার বড় ভাই কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য দলের নির্দেশ অমান্যসহ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তার সমর্থিত বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল সামাদের পক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরুড়া উপজেলা সদরের বাজারে আ.লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানো হয়।
এ সময় উপজেলা আ.লীগের কার্যালয় থেকে এমপি সমর্থিত দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর অনুসারীরা নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের ধাওয়া করে ককটেল বিস্ফোরণসহ আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থিত নাছির (৩০) নামের এক নেতাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশ ও পথচারীসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানাতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল ও বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল সামাদের মোবাইলে ফোন করলে উভয়ে রিসিভ করে পরে কথা বলবেন বলে কেটে দেন।
বরুড়া থানা পুলিশের ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৬ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আবার সংঘর্ষের আশঙ্কায় বরুড়া বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।