পাবলিক ভয়েস: ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলায় যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, ওই রকমসহ দেশের সব সামরিক স্টাইলের আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র জনসাধারণেরে জন্য নিষিদ্ধ করে দেবে নিউজিল্যান্ড। একইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডে অস্ত্র আইনে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন।

গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব’ বর্ণবাদী খ্রিষ্টান সন্ত্রাসীর গুলিতে ৫০ মুসল্লি নিহত হওয়ার পর দেশটির অস্ত্র আইন স্পটলাইটে রয়েছে।

এ নিয়ে কিউই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দেশে নতুন অস্ত্র আইন প্রণয়ন করতে পারবো বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, হামলায় ব্যবহৃত বন্দুকে নিষেধাজ্ঞার আগে প্রথমে একটি অনাস্থা আরোপ করা হবে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত অস্ত্র মালিকরা তাদের ‘বাই-ব্যাক স্কিম’ হস্তান্তর করতে পারেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, হামলার ছয়দিন পর এখন আমরা ঘোষণা করছি, নিউজিল্যান্ডে সব সামরিক স্টাইলের আধা স্বয়ংক্রিয় (এমএসএসএ) এবং হামলায় যে রকম বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব অস্ত্র নিষিদ্ধ হবে।

আর্ডার্ন বলেন, কর্মকর্তারা আনুমানিক হিসাব করেছেন, এসব অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হলে ১০০ মিলিয়ন ডলার বা ২০০ মিলিয়ন ডলারেও বেশি ‘বাই-ব্যাক’ খরচ হতে পারে। তারপরও আমাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা অবশ্যই এটা করবো।

মসজিদে হামলাকারী খ্রিষ্টান সন্ত্রাসী অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি নিউজিল্যান্ডে বৈধ বন্দুক মালিকদের অনেকেই বুঝতে পারবেন যে, আমাদের এই পদক্ষেপগুলো জাতীয় স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে ডিনস অ্যাভ মসজিদ ও লিনউড মসজিদে এবং আরেকটি স্থানে খ্রিষ্টান সন্ত্রাসী হামলা চালান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। এতে ৫০ জন নিহত হন। তবে বর্বরোচিত হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

এদিকে, ঘটনার পরদিনই ব্রেন্টনকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে পুলিশি হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়া হয়। আগামী ৫ এপ্রিল দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের উচ্চ আদালতে তাকে আবার হাজির করা হবে।